ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় জিয়া পরিষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার

নুরল ইসলাম আসাদ (জ্যেষ্ঠো প্রতিবেদক)
  • প্রকাশের সময়: ১২:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ ৩৮ জন পড়েছে

মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় জিয়া পরিষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার

উজিরপুর উপজেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি ও উজিরপুর বন্দর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদুজ্জামান কমরেডের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফেক আইডির মাধ্যমে পরিচালিত এই অপপ্রচারের পেছনে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ চক্র জড়িত বলে দাবি ভুক্তভোগীর।

শাহাদুজ্জামান কমরেড জানান, “আমি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তৎকালীন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে দলের দোসরদের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা, হামলা ও পুলিশি হয়রানির কারণে আমাকে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়। সেসময় একাধিকবার মোবাইল ফোনে আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।”

তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার জন্মভূমি উজিরপুরে ফিরে আসি। ফিরে আসার পর আমাকে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।”

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন কমরেড। তার দাবি, “উজিরপুর বাজার থেকে এখন চাঁদাবাজদের উৎখাত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণভাবে বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারছেন। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে মাদক ও চাঁদাবাজ চক্র ফেক আইডির মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।”

এদিকে স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগপন্থী কিছু ব্যক্তি অতীতে উজিরপুর বাজার ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এমনকি তারা মাদক ব্যবসা, যৌন হয়রানি ও চাঁদাবাজিতেও লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, “কমরেড দেশে ফিরে আসার পর থেকেই মাদক চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ফলে ওই চক্র তার বিরুদ্ধে ফেক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।”

কমরেড আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসরদের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার না হলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অচিরেই ফেক আইডি ও অপপ্রচারকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।”

এই প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুস সালাম জানান, “এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা অবিলম্বে জড়িতদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় জিয়া পরিষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার

প্রকাশের সময়: ১২:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

উজিরপুর উপজেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি ও উজিরপুর বন্দর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদুজ্জামান কমরেডের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফেক আইডির মাধ্যমে পরিচালিত এই অপপ্রচারের পেছনে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ চক্র জড়িত বলে দাবি ভুক্তভোগীর।

শাহাদুজ্জামান কমরেড জানান, “আমি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তৎকালীন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে দলের দোসরদের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা, হামলা ও পুলিশি হয়রানির কারণে আমাকে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়। সেসময় একাধিকবার মোবাইল ফোনে আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।”

তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার জন্মভূমি উজিরপুরে ফিরে আসি। ফিরে আসার পর আমাকে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।”

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন কমরেড। তার দাবি, “উজিরপুর বাজার থেকে এখন চাঁদাবাজদের উৎখাত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণভাবে বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারছেন। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে মাদক ও চাঁদাবাজ চক্র ফেক আইডির মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।”

এদিকে স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগপন্থী কিছু ব্যক্তি অতীতে উজিরপুর বাজার ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এমনকি তারা মাদক ব্যবসা, যৌন হয়রানি ও চাঁদাবাজিতেও লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, “কমরেড দেশে ফিরে আসার পর থেকেই মাদক চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ফলে ওই চক্র তার বিরুদ্ধে ফেক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।”

কমরেড আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসরদের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার না হলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অচিরেই ফেক আইডি ও অপপ্রচারকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।”

এই প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুস সালাম জানান, “এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা অবিলম্বে জড়িতদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।