‘জুলাই যোদ্ধাদের’ উপর হামলায় উত্তাল উজিরপুর জামায়াতে ইসলামী

- প্রকাশের সময়: ০৯:২২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ১১২ জন পড়েছে
বরিশালের উজিরপুর উপজেলা চত্বরে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই ২০২৫) বিকেল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচি গৃহীত হয় গোপালগঞ্জে তথাকথিত “জুলাই যোদ্ধাদের” ওপর সংঘটিত হামলার প্রতিবাদে।
উজিরপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উজিরপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল মান্নান মাস্টার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন-উজিরপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ খোকন সরদার, পৌর জামায়াতের আমীর আল আমিন সরদার, বড়াকোঠা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোঃ আনোয়ার হোসেন, শিকারপুর ইউনিয়নের আমীর মাওলানা নাসির উদ্দিন, শোলক জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম নাসির।
এসময় বক্তারা বলেন, “জুলাই যোদ্ধা” নামক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সাহসী কর্মীদের উপর গোপালগঞ্জে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। তারা বলেন, এসব যোদ্ধারাই একসময় দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের উপর হামলা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, এটি গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।
সমাবেশে বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনার পরও এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়নি, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ব্যর্থতা এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের বহিঃপ্রকাশ। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বক্তারা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে জামায়াতে ইসলামী সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সারাদেশে আরো কঠোর কর্মসূচি ও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। বক্তারা আরও বলেন, এ ধরনের হামলা করে কোনো আন্দোলন দমন করা যাবে না। বরং এর মাধ্যমে সরকারের স্বৈরাচারী চেহারাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এই বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে স্থানীয় এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় জামায়াতে ইসলামী এখন পুনরায় মাঠে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।
বিক্ষোভ চলাকালীন উজিরপুর থানার পুলিশ মোতায়েন থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে স্থানীয় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে-কেউ কেউ জামায়াতের কর্মকাণ্ডকে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকেই আতঙ্কিত যে পরিস্থিতি আবার সহিংস দিকে মোড় নিতে পারে।