উজিরপুরের জল্লায় ১৪২ হতদরিদ্র পরিবার পেল ওয়ার্ল্ড ভিশনের আর্থিক সহায়তা

- প্রকাশের সময়: ০৮:১৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫ ৭০ জন পড়েছে
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কারফা গ্রামে অবস্থিত জল্লা আইডিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক কর্মশালায় ১৪২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে আয়বর্ধক কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২১ জুলাই, সোমবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার আয়োজন করে কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার ফর সাসটেইনেবল সোসাইটি (সিআরএসএস) এবং এতে সহায়তা প্রদান করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।
এই আর্থিক সহায়তা মূলত ১৪২টি অপুষ্টি শিশুর পরিবারকে ঘিরে পরিকল্পিত হয়েছে, যাতে তারা ক্ষুদ্র আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জল্লা আইডিয়াল কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ কবির কাজী। অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, মোঃ এমদাদ উল্লাহ, এবং জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মনিকা বৈদ্য ও আশিষ রায়। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ভিডিসি (VDC) সদস্য প্রফুল্ল বিশ্বাস, যিনি স্থানীয় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়মিত যুক্ত।
কর্মশালার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ে দায়িত্ব পালন করেন সিআরএসএস-এর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মি. জেমস সানি বৈরাগী। তাকে সহায়তা করেন কমিউনিটি ফেসিলিটেটর গীতা হালদা, স্মৃতি কির্ত্তনীয়া, অনিমা, তন্নী, সজল, অভি, রিপন, ববিতা প্রমুখ। তাদের নিবেদিতপ্রাণ পরিশ্রমে পুরো আয়োজনটি সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অপুষ্টি শিশুদের পরিবারের মাঝে এই ধরণের আর্থিক সহায়তা ভবিষ্যতে শিশুর স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং শিক্ষা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এটি শুধু একটি আর্থিক অনুদান নয়, বরং একটি পরিবারকে স্থায়ী উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়ার একটি পদক্ষেপ। বক্তারা সিআরএসএস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ ধরণের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
স্থানীয় জনগণও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই সহায়তার মাধ্যমে তারা ছোট পরিসরে হলেও আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড যেমন হাঁস-মুরগি পালন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, হস্তশিল্প বা সবজিচাষ শুরু করতে পারবেন, যা ভবিষ্যতে তাদের স্বনির্ভর করে তুলবে।
এই কর্মশালাটি ছিল একটি মানবিক ও ইতিবাচক উদ্যোগ, যা শুধু উপকারভোগী পরিবারগুলোর জীবনমান উন্নয়নেই নয়, বরং পুরো জল্লা ইউনিয়নের সামাজিক উন্নয়নে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।