ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উজিরপুরে হাজারো মানুষের দাবিতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, মানববন্ধনের পরই কাজ শুরু

নুরল ইসলাম আসাদ (স্টাফ রিপোর্টার)
  • প্রকাশের সময়: ১০:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫ ২৬৯ জন পড়েছে

ছবি: ফাইল ফটো (সাম্প্রতিক ছবি)

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের আশঙ্কা এখন বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে। অব্যাহত সন্ধ্যা নদী ভাঙনে উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের সাকরাল, নারিকেলি, চাউলাহারসহ আশপাশের একাধিক গ্রাম ইতোমধ্যে বিলুপ্তির মুখে। নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের ঘরবাড়ি, কৃষি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমন সংকটময় অবস্থায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে ৩০ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১০টায় স্থানীয় মানুষজন এক বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

উজিরপুর-সাতলা সড়কে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস. এম. আলাউদ্দিন। তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। সকলে একবাক্যে বলেন—“স্থায়ী বাঁধ চাই, এখনই চাই”

উজিরপুরে হাজারো মানুষের দাবিতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, শুরু বাঁধ নির্মাণ
নারিকেলি থেকে দ্রুত নদী ভাঙ্গ রোধের কাজ চলছে

বক্তারা বলেন, “যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে কয়েক বছরের মধ্যেই এই অঞ্চল মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। শুধু ঘরবাড়ি নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকার কৃষি ও মৎস্য খাত, বিপন্ন হবে শিক্ষা ও জনজীবন।”

মানববন্ধনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলী সুজা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন এবং সমস্যার গুরুত্ব অনুধাবন করে তাৎক্ষণিকভাবে বরিশাল জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

উজিরপুরে হাজারো মানুষের দাবিতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, শুরু বাঁধ নির্মাণ
নারিকেলি থেকে দ্রুত নদী ভাঙ্গ রোধের কাজ চলছে

পরবর্তীতে, প্রশাসনের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকৌশলীরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং জরুরি ভিত্তিতে নদী ভাঙ্গন রোধর কাজ শুরু হয়। ভাঙন প্রতিরোধে এই দ্রুত পদক্ষেপে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বরিশাল জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, “মানববন্ধনের মাধ্যমে আমাদের আওয়াজ সরকার পর্যন্ত পৌঁছেছে, প্রশাসনের এমন দ্রুত সাড়া আমাদের আশান্বিত করেছে।”

এখন এলাকার মানুষের একটাই প্রত্যাশা—এই কাজ যেন শুধুই প্রাথমিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না থেকে স্থায়ী সমাধানে পরিণত হয়।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

উজিরপুরে হাজারো মানুষের দাবিতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, মানববন্ধনের পরই কাজ শুরু

প্রকাশের সময়: ১০:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের আশঙ্কা এখন বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে। অব্যাহত সন্ধ্যা নদী ভাঙনে উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের সাকরাল, নারিকেলি, চাউলাহারসহ আশপাশের একাধিক গ্রাম ইতোমধ্যে বিলুপ্তির মুখে। নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের ঘরবাড়ি, কৃষি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমন সংকটময় অবস্থায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে ৩০ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১০টায় স্থানীয় মানুষজন এক বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

উজিরপুর-সাতলা সড়কে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস. এম. আলাউদ্দিন। তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। সকলে একবাক্যে বলেন—“স্থায়ী বাঁধ চাই, এখনই চাই”

উজিরপুরে হাজারো মানুষের দাবিতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, শুরু বাঁধ নির্মাণ
নারিকেলি থেকে দ্রুত নদী ভাঙ্গ রোধের কাজ চলছে

বক্তারা বলেন, “যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে কয়েক বছরের মধ্যেই এই অঞ্চল মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। শুধু ঘরবাড়ি নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকার কৃষি ও মৎস্য খাত, বিপন্ন হবে শিক্ষা ও জনজীবন।”

মানববন্ধনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলী সুজা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন এবং সমস্যার গুরুত্ব অনুধাবন করে তাৎক্ষণিকভাবে বরিশাল জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

উজিরপুরে হাজারো মানুষের দাবিতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, শুরু বাঁধ নির্মাণ
নারিকেলি থেকে দ্রুত নদী ভাঙ্গ রোধের কাজ চলছে

পরবর্তীতে, প্রশাসনের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকৌশলীরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং জরুরি ভিত্তিতে নদী ভাঙ্গন রোধর কাজ শুরু হয়। ভাঙন প্রতিরোধে এই দ্রুত পদক্ষেপে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বরিশাল জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, “মানববন্ধনের মাধ্যমে আমাদের আওয়াজ সরকার পর্যন্ত পৌঁছেছে, প্রশাসনের এমন দ্রুত সাড়া আমাদের আশান্বিত করেছে।”

এখন এলাকার মানুষের একটাই প্রত্যাশা—এই কাজ যেন শুধুই প্রাথমিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না থেকে স্থায়ী সমাধানে পরিণত হয়।