রামুতে তাঁতীদলের কাউন্সিলে ত্যাগী নেতাদের নেতৃত্বে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান

- প্রকাশের সময়: ০৯:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ৯৪ জন পড়েছে
এক উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল, খুনিয়া পালং ইউনিয়ন শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৫ সালের এই সম্মেলনকে ঘিরে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে আগত নেতাকর্মীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে জমজমাট হয়ে ওঠে পুরো আয়োজন। খুনিয়া পালং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়ে সম্মেলনকে সফল করে তোলেন।
দ্বি-বার্ষিক এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন খুনিয়া পালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জনাব এসএম ফরিদ আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক জনাব ইমাম খালেদ স্বপন। প্রধান বক্তা ছিলেন রামু উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক জনাব এনামুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা তাঁতীদলের সদস্য সচিব বিপ্লব বড়ুয়া এবং খুনিয়া পালং ইউনিয়ন বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা সুলতান আহমদ ভুলু চৌ। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন খুনিয়া পালং ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ ইসমাঈল। অনুষ্ঠানটি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেন রামু উপজেলা তাঁতীদলের সদস্য জনাব জুলফিকার আলম।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তাঁতীদলকে সংগঠনের অন্যতম ভিত্তি শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দেন তাঁরা। বক্তারা বলেন, “জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল শুধু পেশাভিত্তিক সংগঠন নয়, এটি একটি আদর্শিক সংগ্রামের বাহক। আগামী আন্দোলন-সংগ্রামে এই সংগঠনের ভূমিকা হবে অপরিহার্য।”
বক্তারা বিএনপিকে শক্তিশালী করতে নেতৃত্বে ত্যাগী, অভিজ্ঞ এবং জনপ্রিয় নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তাঁরা সাবেক সংসদ সদস্য জনাব লুতফুর রহমান কাজল-কে রামু-কক্সবাজার আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী করার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, “লুতফুর রহমান কাজল একজন পরিচ্ছন্ন, জনপ্রিয় ও বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা। তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলার সর্বস্তরে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে বিএনপি এই আসনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করবে।”
সম্মেলন শেষে উপস্থিত সকল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও গতিশীল ইউনিয়ন তাঁতীদল কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন কমিটির মাধ্যমে তাঁতীদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।
এই সম্মেলন শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে তৃণমূলে বিস্তৃত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।