প্রতিমা ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

- প্রকাশের সময়: ০৯:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ ৫৯ জন পড়েছে
ঢাকার খিলক্ষেতে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গামন্দির বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ, প্রতিমা ভাংচুর, লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে বাবাকে ও ছেলেকে সেলুন থেকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া এবং যশোরের অভয়নগরে বর্বরোচিত হামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ার (ট্রাফিক পয়েন্ট) এ এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট বিমান কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিমল বণিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট মলয় চক্রবর্তী রাজু, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি কলি তালুকদার আরতি, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রাধাকান্ত সূত্রধর এবং জেলা জাগ্রহ যুবসংঘের প্রতিনিধি হিমাদ্রি রায় প্রান্ত।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিধান দাস, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ এষ বলাই, লোকনাথ সেবাসংঘের সভাপতি মতিলাল চন্দ, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত বণিক, শংঙ্কর বণিক, সুদিন রায়, বিশ্বজিৎ রায়, মলয় দাস, দীপঙ্কর শর্মা চৌধুরী, অরুণ তালুকদার, অমিত চক্রবর্তী, রাজগোবিন্দ চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট অশোক গোস্বামী, নিতাই চন্দ, অনন্ত বণিক, শিশির তালুকদার, মলি রায়, জবা ঘোষ, অন্তু বণিক, কাজলী দাস, সীমা চৌধুরী, পিনাক দাস, চয়ন দাস, সুমন নন্দী, রবি বণিক, নিরঞ্জন দাস, চমক সেন, লিটন দে, রাজু বণিক, বাপন রায় ও জয় বণিক প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গামন্দিরে বুলডোজার দিয়ে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ১৯৭১ সালে সব ধর্মের মানুষের রক্ত আর সম্মান বিসর্জনের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশে সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রতিটি সরকার আমলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মন্দির ভাঙচুর, প্রতিমা ধ্বংস, সম্পত্তি দখলের মতো সহিংসতার শিকার হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশে সবাই সমানভাবে নিজের মাতৃভূমিতে বসবাস করতে চায়। তারা দাবি করেন, লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাবা-ছেলেকে সেলুন থেকে টেনে বের করে পিটিয়ে পুলিশের হাতে দেওয়ার ঘটনা, যশোরের অভয়নগরে বর্বরোচিত হামলা—এগুলো স্পষ্ট সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস। এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তারা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়-তাই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।