মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যা: জাবি ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ সমাবেশ

- প্রকাশের সময়: ০১:৩৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ১৯ জন পড়েছে
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার (তারিখ উল্লেখ করতে পারো) সন্ধ্যা সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের আবাসিক হল, শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং শেষ পর্যন্ত বটতলায় ফিরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সক্রিয় ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সমাবেশে বক্তারা প্রকাশ্যে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসের বীভৎস প্রকাশ’ বলে আখ্যা দেন এবং এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনটির মুখপাত্র নাদিয়া রহমান অন্বেষা। তিনি বলেন, ‘যুবদলের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে একজন ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। নতুন বাংলাদেশে কোনো নৃশংসতা, চাঁদাবাজি আমরা মেনে নেবো না। আমরা পুরোনো রাজনৈতিক সন্ত্রাসের সংস্কৃতি বদলাতে চাই। যারা নিজেদের শোধরাতে পারবেন না, তারা ক্ষমতায় এলে কতদিন টিকবেন, তা দেশের ছাত্র-জনতা ঠিক করবে।’
সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক সাফায়েত মীর বলেন, ‘আমরা জুলুম, খুন, ধর্ষণ, টাকা পাচার আর চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন করেছি। যারা আওয়ামী লীগের মতো পুরনো বন্দোবস্ত ফিরিয়ে আনতে চায়, যারা আবার চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ করছে, তাদেরও একই পরিণতি হবে। এ অন্যায় আমরা মেনে নেবো না।’
বক্তারা বলেন, দেশের রাজনীতিতে চাঁদাবাজি ও খুনের মতো অপরাধমূলক সংস্কৃতিকে বন্ধ করতে হলে ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা প্রশাসনের কাছে চাঁদ মিয়া হত্যাকাণ্ডের দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা হাত উঁচিয়ে হত্যার প্রতিবাদ জানান এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।