ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তপ্ত রাত: ড্রোন হামলা ও আকাশযুদ্ধে নিহত অন্তত ৩৮

নুরল ইসলাম আসাদ
  • প্রকাশের সময়: ০৮:২৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ ১৫৭ জন পড়েছে

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে উত্তপ্ত রাত ড্রোন হামলা, আকাশযুদ্ধ ও বেসামরিক হতাহত

৮ মে রাত থেকে ৯ মে ভোর পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নামে একটি বড়সড় অভিযান চালায়, যেখানে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের অন্তত ১৪টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়। ভারত দাবি করে, এসব হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং জম্মু অঞ্চলে পাল্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যদিও ভারত তাদের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করার কথা জানায়।

এদিকে পাকিস্তান দাবি করে, ভারত তাদের ওপর হামলার জন্য ইসরায়েলি Harop ড্রোন ব্যবহার করেছে। তারা জানায়, এসব ড্রোনের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫টি এবং সবগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ড্রোন লাহোরের একটি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানার খবরও প্রকাশ পায়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারত লাহোরে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিস্ক্রিয় করতে SEAD/DEAD মিশন চালিয়েছে বলে জানিয়েছে।

সবচেয়ে উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটে আকাশযুদ্ধে। দুই দেশের ১২৫টিরও বেশি যুদ্ধবিমান রাতভর একে অপরের মুখোমুখি হয়। আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধগুলোর একটি হিসেবে এই সংঘর্ষকে ধরা হচ্ছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ ও একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। যদিও ভারত এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে, তবে নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানায়নি।

এই সংঘর্ষে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। পাকিস্তান দাবি করে, ভারতের হামলায় ৩২ জন নিহত এবং ৬১ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ভারত জানায়, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে তাদের ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে এবং উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।

আন্তর্জাতিক মহল এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। অনেক দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া, এই সংঘর্ষ বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। বর্তমানে দুই দেশের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পাকিস্তানে সাময়িকভাবে আকাশপথ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২৫টি বিমানবন্দর ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এই উত্তেজনা আরও ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে, যদি না কূটনৈতিকভাবে দ্রুত সমাধান করা হয়। পরিস্থিতি এখনো থমথমে, এবং আন্তর্জাতিক মহল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে গভীর উদ্বেগ নিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তপ্ত রাত: ড্রোন হামলা ও আকাশযুদ্ধে নিহত অন্তত ৩৮

প্রকাশের সময়: ০৮:২৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

৮ মে রাত থেকে ৯ মে ভোর পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নামে একটি বড়সড় অভিযান চালায়, যেখানে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের অন্তত ১৪টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়। ভারত দাবি করে, এসব হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং জম্মু অঞ্চলে পাল্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যদিও ভারত তাদের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করার কথা জানায়।

এদিকে পাকিস্তান দাবি করে, ভারত তাদের ওপর হামলার জন্য ইসরায়েলি Harop ড্রোন ব্যবহার করেছে। তারা জানায়, এসব ড্রোনের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫টি এবং সবগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ড্রোন লাহোরের একটি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানার খবরও প্রকাশ পায়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারত লাহোরে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিস্ক্রিয় করতে SEAD/DEAD মিশন চালিয়েছে বলে জানিয়েছে।

সবচেয়ে উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটে আকাশযুদ্ধে। দুই দেশের ১২৫টিরও বেশি যুদ্ধবিমান রাতভর একে অপরের মুখোমুখি হয়। আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধগুলোর একটি হিসেবে এই সংঘর্ষকে ধরা হচ্ছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ ও একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। যদিও ভারত এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে, তবে নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানায়নি।

এই সংঘর্ষে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। পাকিস্তান দাবি করে, ভারতের হামলায় ৩২ জন নিহত এবং ৬১ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ভারত জানায়, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে তাদের ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে এবং উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।

আন্তর্জাতিক মহল এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। অনেক দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া, এই সংঘর্ষ বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। বর্তমানে দুই দেশের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পাকিস্তানে সাময়িকভাবে আকাশপথ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২৫টি বিমানবন্দর ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এই উত্তেজনা আরও ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে, যদি না কূটনৈতিকভাবে দ্রুত সমাধান করা হয়। পরিস্থিতি এখনো থমথমে, এবং আন্তর্জাতিক মহল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে গভীর উদ্বেগ নিয়ে।