দক্ষিণে ভারী বর্ষণ ও চট্টগ্রামে ভূমিধ্বসের শঙ্কা: আগামী ২৪ ঘন্টার সতর্কতা

- প্রকাশের সময়: ০৬:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫ ২৯ জন পড়েছে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা জারি করেছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই ২০২৫) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে এই বৃষ্টি নামবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি মানে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার এবং অতি ভারী বৃষ্টি ৮৮ মিলিমিটারের বেশি ২৪ ঘণ্টায় হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অতি ভারী বর্ষণের কারণে কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এই ঝুঁকি বিবেচনায় জনগণকে সতর্ক রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বর্ষাকালে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় একাধিক প্রাণঘাতী ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। এই সতর্কবার্তা সেই ঝুঁকির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই জারি করা হয়েছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর নিচু এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে অস্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলোকে আগাম ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা হওয়ায় প্রতিটি মৌসুমি বৃষ্টিতেই জনদুর্ভোগ তৈরি হয়। এ বছর ইতিমধ্যেই মৌসুমী বায়ু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে একাধিক দফা ভারী বৃষ্টি নামিয়েছে, ফলে কিছু এলাকায় নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদীর পানি কিছু কিছু স্থানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও এই বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা মূলত দেশের দক্ষিণাংশের জন্য জারি করা হয়েছে, তবুও মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা পুরো দেশের বৃষ্টিপ্যাটার্নকে প্রভাবিত করতে পারে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বৃষ্টির কিছুটা ইতিবাচক দিকও আছে-খরার প্রভাব কমবে, আমন ধানের চারা রোপণে উপকার হবে। তবে টানা অতি ভারী বর্ষণ হলে বীজতলা তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর নাগরিকদের অনুরোধ করেছে, নিয়মিত আবহাওয়ার হালনাগাদ তথ্য জানতে, সতর্কবার্তা অনুসরণ করতে এবং পাহাড়ি ঢালে বা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের বিশেষ সতর্ক থাকতে। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।