আলামদী ও পশ্চিম সাতলা স্মার্ট ইকো ভিলেজ ঘোষণা

- প্রকাশের সময়: ০৬:২২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ ৪৮ জন পড়েছে
সাতলা ইউনিয়নের আলামদী ও পশ্চিম সাতলা গ্রামকে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশ বান্ধব গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই স্মার্ট ইকো ভিলেজ ঘোষণা অনুষ্ঠানটি ৩১ জুলাই ভরৎসেন গোবিন্দ দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে পরিবেশ বান্ধব গ্রাম উন্নয়ন কমিটি ও ইগনিশন কমিটির আয়োজনে সিআরএসএস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিভিন্ন কমিটি, এলাকাবাসী এবং নেতৃবৃন্দের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মো: শাহীন হাওলাদার, যিনি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। সভাপতিত্ব করেন সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিআরএসএস-সিইএসপি’র কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার এ্যানিমিতা বৈরাগী। ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহজাহান হাওলাদার, ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক মোল্লাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার জনগণও উপস্থিত ছিলেন।
পশ্চিম সাতলা স্মার্ট ইকো ভিলেজের মাধ্যমে একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী থাকবে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা এবং জৈব পদ্ধতিতে কৃষি চর্চা। এতে এলাকাবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে।
আলামদী স্মার্ট ইকো ভিলেজেও গাছ লাগানো, প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ একটি টেকসই ও স্বাস্থ্যকর গ্রাম গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নেওয়া হয়। স্থানীয়রা একযোগে পরিবেশ বান্ধব উন্নয়নে অংশগ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দেন।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরএসএস-এর মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশন স্পেশালিস্ট সিনথিয়া তন্বী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার-সিআরএসএস-সিইএসপি মো: রাকিবুল ইসলাম, পশ্চিম সাতলা ও আলামদী গ্রাম উন্নয়ন কমিটি, ইগনিশন কমিটির সদস্যবৃন্দ, পরিবেশ বান্ধব গ্রাম উন্নয়ন কমিটিসহ একালার জণগণ শত শত উৎসুক জনতা।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল মন্দির প্রাঙ্গণে সাজানো স্টলগুলো, যেখানে প্রদর্শিত হয়েছিল হাতে তৈরি তৈজসপত্র, নকশীকাঁথা এবং বাড়ির আঙ্গিনার সবজি। এগুলো স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করছিল।
একই সাথে “প্রতিটি শিশুর জন্য পাঁচ শূন্য প্লাস অর্জন” অঙ্গীকারনামায় সিআরএসএস, ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং উজিরপুর এপির সমন্বয়ে সকল উপস্থিতি স্বাক্ষর করেন, যা শিশুদের পুষ্টি, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
এই উদ্যোগকে ঘিরে এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে কমিটি ও সংগঠনগুলো আশাবাদী যে, আলামদী ও পশ্চিম সাতলা গ্রাম দেশের অন্যান্য গ্রামীণ এলাকায় পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের মডেল হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।