ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাখাইন করিডোরে জনমতের গুরুত্ব: জনগণের সম্মতি ছাড়া সিদ্ধান্ত নয় – বিএসপি

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময়: ০৯:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ৪৯ জন পড়েছে

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভা

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩ মে, শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকার মিরপুর-১ স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার সিটি মহল সাইনেজ রেস্টুরেন্টে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।

সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, রাখাইন করিডোর প্রসঙ্গে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না। ড. সাইফুদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশকে আমরা কোনোভাবেই ফিলিস্তিন কিংবা ইউক্রেনের মতো পরিস্থিতিতে দেখতে চাই না। রাখাইনে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে তা অবশ্যই সংসদে আলোচনা করে, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো আপস করা যাবে না। এ সময় নারী সংস্কার কমিশনের নামে কোরআন-হাদিস বিরোধী আইন পাশের যে উদ্যোগ চলছে, তারও তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি।

বিএসপি নেতারা দাবি করেন, ২৬ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মহাসমাবেশে সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে। অথচ সরকারঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী একই সময়ে সভা-সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে। এই বৈষম্য ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

সভার আরেকটি আলোচিত বিষয় ছিল, ২৬ এপ্রিল আহলে সুন্নাত মহাসমাবেশের প্রস্তুতিতে সক্রিয় খতিব মাওলানা রইস উদ্দিনের রহস্যজনক মৃত্যু। দলটি অভিযোগ করে, সরকার পক্ষ থেকে হত্যার বিচার না করে উল্টো চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় বিএসপি।

সভায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং এ লক্ষ্যে ২১টি উপকমিটি গঠন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশিকুর রহমান হাশেমী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, মো. মনির হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রাখাইন করিডোরে জনমতের গুরুত্ব: জনগণের সম্মতি ছাড়া সিদ্ধান্ত নয় – বিএসপি

প্রকাশের সময়: ০৯:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩ মে, শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকার মিরপুর-১ স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার সিটি মহল সাইনেজ রেস্টুরেন্টে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।

সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, রাখাইন করিডোর প্রসঙ্গে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না। ড. সাইফুদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশকে আমরা কোনোভাবেই ফিলিস্তিন কিংবা ইউক্রেনের মতো পরিস্থিতিতে দেখতে চাই না। রাখাইনে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে তা অবশ্যই সংসদে আলোচনা করে, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো আপস করা যাবে না। এ সময় নারী সংস্কার কমিশনের নামে কোরআন-হাদিস বিরোধী আইন পাশের যে উদ্যোগ চলছে, তারও তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি।

বিএসপি নেতারা দাবি করেন, ২৬ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মহাসমাবেশে সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে। অথচ সরকারঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী একই সময়ে সভা-সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে। এই বৈষম্য ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

সভার আরেকটি আলোচিত বিষয় ছিল, ২৬ এপ্রিল আহলে সুন্নাত মহাসমাবেশের প্রস্তুতিতে সক্রিয় খতিব মাওলানা রইস উদ্দিনের রহস্যজনক মৃত্যু। দলটি অভিযোগ করে, সরকার পক্ষ থেকে হত্যার বিচার না করে উল্টো চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় বিএসপি।

সভায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং এ লক্ষ্যে ২১টি উপকমিটি গঠন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশিকুর রহমান হাশেমী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, মো. মনির হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।