ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিথ্যা মামলার শিকার বনি আমিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উজিরপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

নুরল ইসলাম আসাদ (জ্যেষ্ঠো প্রতিবেদক)
  • প্রকাশের সময়: ০৮:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫ ২৩১ জন পড়েছে

বনি আমিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উজিরপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের সাকরাল গ্রামের এক তরুণ, মোঃ বনি আমিন (২৬)-কে ঘিরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনার রেশ এখনো থামেনি। এসিড নিক্ষেপ, অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং হত্যাচেষ্টার মতো ভয়াবহ অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় র‍্যাব-৮ কর্তৃক গ্রেফতার হওয়া বনি আমিনকে নিয়ে উজিরপুরের জনসাধারণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, এটি একটি ‘চরম ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা’, যার পেছনে লুকিয়ে আছে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তি প্রতিহিংসার জাল।


গ্রেফতার ও ঘটনার পটভূমি

৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে বরিশাল বিমানবন্দর থানাধীন রহমতপুর-বাবুগঞ্জ এলাকা থেকে র‍্যাব-৮ এর একটি দল বনি আমিনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে বরিশাল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এই মামলার বাদী মারিয়া আক্তার, যিনি বনি আমিনের ভগ্নিপতি মশিউর রহমান মাসুমের দ্বিতীয় স্ত্রী, তিনি বনি আমিনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। অথচ স্থানীয় সূত্রগুলো দাবি করছে, এই অভিযোগের ভিত্তি একেবারেই দুর্বল এবং এটি পূর্বপরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র। সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, যে ফেসবুক আইডি (নাম-মশিউর রহমান মাসুম) থেকে বনি আমিনের গ্রেফতারের খবরটি সামাজিক মাধ্যমে প্রথম প্রচার করা হয়, সেই মশিউর রহমান মাসুম নিজেই এক মাস পূর্ব থেকেই ওই মামলায় আসামি হিসেবে কারাগারে আছেন।


‘আইডি চালাচ্ছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী মামলার বাদী মারিয়া আক্তার’-জনগণের সন্দেহ

এই ঘটনাটি এলাকায় নতুন এক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে; জেল বন্দী অবস্থায় মশিউর কিভাবে ফেসবুকে পোস্ট করতে পারেন?
স্থানীয়দের দাবি, “মশিউরের ফেসবুক আইডিটি এখন চালাচ্ছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী মারিয়া আক্তার। মামলার প্রেক্ষাপট সাজিয়ে বনি আমিনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে সেই আইডি ব্যবহার করে জনমনে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

এই ঘটনার জের ধরেই ২ আগস্ট বিকেল ৫টায় বড়াকোঠা ইউনিয়নের মডেল বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনও বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন সমাজকর্মী সুমন আল ফয়েজ। এসময় বক্তব্য রাখেন ডি এম আল আমিন, মুজাম্মেল চৌকিদার, জাহিদুল ইসলাম সবুজ ঢালী, এইচ এম সিহাব, খোকন খান, তছলিম হাওলাদার এবং বনি আমিনের আত্মীয়া হাফিজা বেগম।


বনি আমিন সম্পর্কে এলাকাবাসীর বক্তব্য;

প্রতিবাদী জনতার দাবি, বনি আমিন একজন নম্র, ভদ্র ও সজ্জন যুবক। সমাজের বিভিন্ন কাজে সক্রিয়, সদাচরণে পরিচিত এই তরুণকে এমন জঘন্য অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া একটি গুরুতর অন্যায়।
একজন প্রবীণ স্থানীয় ব্যক্তি বলেন,

“বনি আমিনের মতো একজন ছেলেকে অপহরণ ও এসিড নিক্ষেপের মতো ভয়ংকর মামলায় জড়ানো মানেই সত্যের প্রতি অবিচার। এ ধরনের মামলা শুধু একজন তরুণের জীবনই ধ্বংস করে না, তা গোটা সমাজের বিশ্বাসেও চরম আঘাত হানে।”


জনতার দৃঢ় অবস্থান-‘এই লড়াই শুধু বনি আমিনের না, সমাজের বিবেকের’

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী অনেকেই বলেন, এটি এখন শুধু বনি আমিনের লড়াই নয়, বরং এটি একটি পরিবারের সম্মান রক্ষার লড়াই, সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর লড়াই, সমাজের অসত্য ও কুৎসিত প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এক দৃপ্ত শপথ।
বিক্ষোভে প্ল্যাকার্ড হাতে নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী এমনকি শিশুদেরও দেখা যায়। লেখা ছিল—

  • “বনি আমিন নির্দোষ!”

  • “মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আমরা একতাবদ্ধ”

  • “ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি”

  • “সুষ্ঠু তদন্ত চাই, নির্দোষকে মুক্তি দাও”

একজন স্থানীয় তরুণ জাহিদুল ইসলাম সবুজ বলেন,

“যে দেশে নির্দোষদের ফাঁসানো হয়, সেই দেশ গণতন্ত্রের আলো থেকে ছিটকে পড়ে। আমরা চাই এই মামলার পূর্ণ তদন্ত হোক, যাতে প্রকৃত দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।”


মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবি;

মানববন্ধন শেষে বক্তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান, যেন এই ষড়যন্ত্রের গভীরে গিয়ে সত্যতা যাচাই করা হয়।
তারা বলেন, “আমরা কোনো অপরাধীকে রক্ষা করতে চাই না। কিন্তু যদি নির্দোষ কেউ হয়রানির শিকার হন, তবে সেটিও ন্যায়ের পরিপন্থী। আইন সবার জন্য সমান-সেটিই আমাদের কাম্য।”


প্রতিবাদ চলবেই-ঘোষণা দিল স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা;

এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ছিল প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,

“যদি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত না হয় ও বনি আমিনকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে এলাকাবাসী আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।”

পরবর্তীতে জেলার প্রশাসন ভবন ঘেরাও, স্মারকলিপি প্রদান এবং জাতীয় পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণাও দেন প্রতিবাদকারীরা।

পরিশেষে বলা যায়;

এই ঘটনা কেবল একটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ নয়; এটি সমাজে চলমান পারিবারিক হিংসা, সামাজিক বিদ্বেষ ও প্রযুক্তি ব্যবহারে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সচেতনতার ডাক।

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে-প্রযুক্তির অপব্যবহার, সামাজিক বিভাজন ও আইনকে অস্ত্র বানিয়ে কারও জীবন ধ্বংস করে দেওয়ার বিরুদ্ধে সকলে রুখে দাঁড়ালে, সমাজে ন্যায়বিচারের আলো ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

বনি আমিনের প্রশ্ন এখন গোটা সমাজের বিবেকের প্রশ্ন-এই প্রশ্নের উত্তর আমরা সবাই মিলে খুঁজে বের করব কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মিথ্যা মামলার শিকার বনি আমিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উজিরপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

প্রকাশের সময়: ০৮:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের সাকরাল গ্রামের এক তরুণ, মোঃ বনি আমিন (২৬)-কে ঘিরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনার রেশ এখনো থামেনি। এসিড নিক্ষেপ, অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং হত্যাচেষ্টার মতো ভয়াবহ অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় র‍্যাব-৮ কর্তৃক গ্রেফতার হওয়া বনি আমিনকে নিয়ে উজিরপুরের জনসাধারণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, এটি একটি ‘চরম ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা’, যার পেছনে লুকিয়ে আছে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তি প্রতিহিংসার জাল।


গ্রেফতার ও ঘটনার পটভূমি

৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে বরিশাল বিমানবন্দর থানাধীন রহমতপুর-বাবুগঞ্জ এলাকা থেকে র‍্যাব-৮ এর একটি দল বনি আমিনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে বরিশাল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এই মামলার বাদী মারিয়া আক্তার, যিনি বনি আমিনের ভগ্নিপতি মশিউর রহমান মাসুমের দ্বিতীয় স্ত্রী, তিনি বনি আমিনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। অথচ স্থানীয় সূত্রগুলো দাবি করছে, এই অভিযোগের ভিত্তি একেবারেই দুর্বল এবং এটি পূর্বপরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র। সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, যে ফেসবুক আইডি (নাম-মশিউর রহমান মাসুম) থেকে বনি আমিনের গ্রেফতারের খবরটি সামাজিক মাধ্যমে প্রথম প্রচার করা হয়, সেই মশিউর রহমান মাসুম নিজেই এক মাস পূর্ব থেকেই ওই মামলায় আসামি হিসেবে কারাগারে আছেন।


‘আইডি চালাচ্ছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী মামলার বাদী মারিয়া আক্তার’-জনগণের সন্দেহ

এই ঘটনাটি এলাকায় নতুন এক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে; জেল বন্দী অবস্থায় মশিউর কিভাবে ফেসবুকে পোস্ট করতে পারেন?
স্থানীয়দের দাবি, “মশিউরের ফেসবুক আইডিটি এখন চালাচ্ছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী মারিয়া আক্তার। মামলার প্রেক্ষাপট সাজিয়ে বনি আমিনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে সেই আইডি ব্যবহার করে জনমনে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

এই ঘটনার জের ধরেই ২ আগস্ট বিকেল ৫টায় বড়াকোঠা ইউনিয়নের মডেল বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনও বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন সমাজকর্মী সুমন আল ফয়েজ। এসময় বক্তব্য রাখেন ডি এম আল আমিন, মুজাম্মেল চৌকিদার, জাহিদুল ইসলাম সবুজ ঢালী, এইচ এম সিহাব, খোকন খান, তছলিম হাওলাদার এবং বনি আমিনের আত্মীয়া হাফিজা বেগম।


বনি আমিন সম্পর্কে এলাকাবাসীর বক্তব্য;

প্রতিবাদী জনতার দাবি, বনি আমিন একজন নম্র, ভদ্র ও সজ্জন যুবক। সমাজের বিভিন্ন কাজে সক্রিয়, সদাচরণে পরিচিত এই তরুণকে এমন জঘন্য অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া একটি গুরুতর অন্যায়।
একজন প্রবীণ স্থানীয় ব্যক্তি বলেন,

“বনি আমিনের মতো একজন ছেলেকে অপহরণ ও এসিড নিক্ষেপের মতো ভয়ংকর মামলায় জড়ানো মানেই সত্যের প্রতি অবিচার। এ ধরনের মামলা শুধু একজন তরুণের জীবনই ধ্বংস করে না, তা গোটা সমাজের বিশ্বাসেও চরম আঘাত হানে।”


জনতার দৃঢ় অবস্থান-‘এই লড়াই শুধু বনি আমিনের না, সমাজের বিবেকের’

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী অনেকেই বলেন, এটি এখন শুধু বনি আমিনের লড়াই নয়, বরং এটি একটি পরিবারের সম্মান রক্ষার লড়াই, সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর লড়াই, সমাজের অসত্য ও কুৎসিত প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এক দৃপ্ত শপথ।
বিক্ষোভে প্ল্যাকার্ড হাতে নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী এমনকি শিশুদেরও দেখা যায়। লেখা ছিল—

  • “বনি আমিন নির্দোষ!”

  • “মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আমরা একতাবদ্ধ”

  • “ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি”

  • “সুষ্ঠু তদন্ত চাই, নির্দোষকে মুক্তি দাও”

একজন স্থানীয় তরুণ জাহিদুল ইসলাম সবুজ বলেন,

“যে দেশে নির্দোষদের ফাঁসানো হয়, সেই দেশ গণতন্ত্রের আলো থেকে ছিটকে পড়ে। আমরা চাই এই মামলার পূর্ণ তদন্ত হোক, যাতে প্রকৃত দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।”


মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবি;

মানববন্ধন শেষে বক্তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান, যেন এই ষড়যন্ত্রের গভীরে গিয়ে সত্যতা যাচাই করা হয়।
তারা বলেন, “আমরা কোনো অপরাধীকে রক্ষা করতে চাই না। কিন্তু যদি নির্দোষ কেউ হয়রানির শিকার হন, তবে সেটিও ন্যায়ের পরিপন্থী। আইন সবার জন্য সমান-সেটিই আমাদের কাম্য।”


প্রতিবাদ চলবেই-ঘোষণা দিল স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা;

এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ছিল প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,

“যদি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত না হয় ও বনি আমিনকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে এলাকাবাসী আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।”

পরবর্তীতে জেলার প্রশাসন ভবন ঘেরাও, স্মারকলিপি প্রদান এবং জাতীয় পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণাও দেন প্রতিবাদকারীরা।

পরিশেষে বলা যায়;

এই ঘটনা কেবল একটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ নয়; এটি সমাজে চলমান পারিবারিক হিংসা, সামাজিক বিদ্বেষ ও প্রযুক্তি ব্যবহারে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সচেতনতার ডাক।

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে-প্রযুক্তির অপব্যবহার, সামাজিক বিভাজন ও আইনকে অস্ত্র বানিয়ে কারও জীবন ধ্বংস করে দেওয়ার বিরুদ্ধে সকলে রুখে দাঁড়ালে, সমাজে ন্যায়বিচারের আলো ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

বনি আমিনের প্রশ্ন এখন গোটা সমাজের বিবেকের প্রশ্ন-এই প্রশ্নের উত্তর আমরা সবাই মিলে খুঁজে বের করব কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।