প্রবাসীদের সম্মান ও শ্রদ্ধায় নিউইয়র্কে পালিত হলো জুলাই অভ্যুত্থান দিবস

- প্রকাশের সময়: ১১:১৪:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ৫৯ জন পড়েছে
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের যৌথ উদ্যোগে ২০২৪ সালের ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এর প্রথম বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ২৬ জুলাই কনস্যুলেট ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এবং সাম্প্রতিক মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যা অভ্যুত্থানের পটভূমি, প্রবাসীদের ভূমিকা এবং পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অর্থ বিষয়ক বিশেষ সহকারী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “২০২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তে পা রেখেছে, যেখানে সংস্কার, সুশাসন ও অর্থনৈতিক টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য।” তিনি দেশের দ্রুত অগ্রসরমান শিল্প ও প্রযুক্তিখাত, মেধাবী জনশক্তি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স প্রবাহকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মেরুদণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। একইসঙ্গে তিনি মাইলস্টোন কলেজ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের কল্যাণে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে প্রবাসী ছাত্রসমাজের ভূমিকা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা অতীব জরুরি।” তিনি প্রবাসী সমাজকে দেশ ও জাতির উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের সম্মানে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়, যা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশি সংস্কৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরে। অনুষ্ঠানটি প্রবাসে বাংলাদেশি জাতিসত্তার বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে এবং ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।