ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

র‌্যাবের অভিযানে ময়মনসিংহে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার

আরিফুল ইসলাম মুরাদ (স্টাফ রিপোটার), ময়মনসিংহ
  • প্রকাশের সময়: ০৬:২৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ২৭ জন পড়েছে

র‌্যাবের অভিযানে ময়মনসিংহে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার

ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মাহাদী হাসান (২১) কে র‍্যাব-১৪, সিপিএসসি ময়মনসিংহের আভিযানিক দল ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত আনুমানিক ১:৩০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনার সূত্রপাত ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে। ভিকটিম ত্রিশাল উপজেলার একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। সে তার আবাসিক রুমে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে রাত কাটাচ্ছিল। রাত আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটের সময়, আসামী মাহাদী হাসান ভিকটিমকে ঘুম থেকে জাগিয়ে নিয়ে যায় তার রুমে এবং নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তার পায়ুপথে ধর্ষণ করে। ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে সে ঘটনার কথা গোপন রাখে।

মাসের পর মাস ভিকটিমের উপর এ অপমান সহ্য করার পর ২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে তার পায়ুপথে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে ভিকটিমের মা তাকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে না পারায় ভিকটিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে ভর্তি অবস্থায় ভিকটিম তার মাকে ঘটনার পুরো বর্ণনা দেয়।

ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ২৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২৪)।

মামলার পর থেকে সিপিএসসি, র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ মামলার তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ, সাইবার, গোয়েন্দা নজরদারি এবং অন্যান্য তদন্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। অভিযান ও অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে ২৮ জুন ২০২৫ রাত ১:৩০ মিনিটে মুক্তাগাছা থানার আওতাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহাদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাহাদী হাসান পিতা শামছুল ইসলাম, গ্রামের ঠিকানা–দামিহা, থানা–তাড়াইল, জেলা–কিশোরগঞ্জ। তাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্থানীয় সমাজ ও ভিকটিমের পরিবারসহ সকলেই এই ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত ও কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিতের জন্য কঠোর মনোযোগী রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

র‌্যাবের অভিযানে ময়মনসিংহে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার

প্রকাশের সময়: ০৬:২৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মাহাদী হাসান (২১) কে র‍্যাব-১৪, সিপিএসসি ময়মনসিংহের আভিযানিক দল ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত আনুমানিক ১:৩০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনার সূত্রপাত ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে। ভিকটিম ত্রিশাল উপজেলার একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। সে তার আবাসিক রুমে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে রাত কাটাচ্ছিল। রাত আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটের সময়, আসামী মাহাদী হাসান ভিকটিমকে ঘুম থেকে জাগিয়ে নিয়ে যায় তার রুমে এবং নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তার পায়ুপথে ধর্ষণ করে। ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে সে ঘটনার কথা গোপন রাখে।

মাসের পর মাস ভিকটিমের উপর এ অপমান সহ্য করার পর ২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে তার পায়ুপথে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে ভিকটিমের মা তাকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে না পারায় ভিকটিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে ভর্তি অবস্থায় ভিকটিম তার মাকে ঘটনার পুরো বর্ণনা দেয়।

ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ২৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২৪)।

মামলার পর থেকে সিপিএসসি, র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ মামলার তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ, সাইবার, গোয়েন্দা নজরদারি এবং অন্যান্য তদন্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। অভিযান ও অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে ২৮ জুন ২০২৫ রাত ১:৩০ মিনিটে মুক্তাগাছা থানার আওতাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহাদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাহাদী হাসান পিতা শামছুল ইসলাম, গ্রামের ঠিকানা–দামিহা, থানা–তাড়াইল, জেলা–কিশোরগঞ্জ। তাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্থানীয় সমাজ ও ভিকটিমের পরিবারসহ সকলেই এই ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত ও কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিতের জন্য কঠোর মনোযোগী রয়েছে।