তালায় মাছের ঘের লুটপাট ও দখলের চেষ্টা, বিএনপি নেতাদের অস্বীকৃতি

- প্রকাশের সময়: ১১:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ৮০ জন পড়েছে
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেরসা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া এলাকায় মাছের ঘেরে হামলা, লুটপাট ও দখলের অভিযোগ উঠেছে একটি চিহ্নিত চক্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগে জানা গেছে, খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার আওতাধীন জায়গা হলেও বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বালিয়া এলাকার মৃত আনসারের ছেলে নুর ইসলাম দারা এবং তার সহযোগীরা একাধিক মাছের ঘেরে হামলা চালায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, অভিযুক্ত নুর ইসলামের নেতৃত্বে রুহুল আমিন গাজী (মৃত আনসারের পুত্র), আনিছুর (মৃত মনি গাজীর পুত্র), মনি (আসাদুলের পুত্র) ও আরও কয়েকজন লোক নিয়ে ঘেরে ঢুকে অবৈধভাবে মাছ মেরে নেয়, ঘেরের বাসা লুটপাট করে ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা ঘের কেটে দেওয়ায় নদীতে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ভেসে চলে যায়।
ঘের মালিক শেখ আলমগীর বলেন,
“আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না। অথচ নুর ইসলাম ও তার লোকজন আমার ঘের কেটে দিয়ে সর্বনাশ করেছে। কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানে না।”
অন্য এক ভুক্তভোগী মীর তুহিন বলেন,
“আমি একজন হতদরিদ্র মানুষ। আমার ঘেরই ছিল একমাত্র ভরসা। আজ সব শেষ হয়ে গেছে। আমি বিচার চাই।”
স্থানীয় বিএনপি নেতা শেখ জাকির হোসেন বলেন,
“আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কারা ঘের কেটেছে বা ভাঙচুর করেছে, সেটা আমাদের দলের কেউ না। যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত বছরের (২০২৪) জুলাই-আগস্ট মাসের গণ-আন্দোলনের পর থেকেই নুর ইসলাম দারা এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে। তারা বলেন,
“তিনি আসলে বিএনপির কোনো পদে আছেন কিনা আমরা জানি না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তিনি তাদের সঙ্গেই থাকেন, আবার বিএনপি যখন সক্রিয় হয় তখন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে সুবিধা আদায় করেন।”
পাইকগাছা ও তালা থানার বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না এবং যদি সে অপরাধে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুর ইসলাম দারার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তারা বলেন,
“রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে কেউ যেন অন্যায় করে পার না পায় – তা নিশ্চিত করতে হবে।”