উজিরপুরে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

- প্রকাশের সময়: ০৯:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ২৮ জন পড়েছে
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সরকারি ডব্লিউবি ইউনিয়ন মডেল ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হলো একটি সময়োপযোগী ও ব্যতিক্রমধর্মী কর্মশালা।
আজ শনিবার (২২ জুন) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এই ‘দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসন বিষয়ক কর্মশালায়’ অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। আয়োজক ছিল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিআরএসএস (CRSS) এবং সহযোগিতায় ছিল ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও উজিরপুর এপি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ
কর্মশালার মূল আকর্ষণ ছিল বাস্তবভিত্তিক অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ। রান্নার তেল বা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সৃষ্ট আগুন হঠাৎ করে বাড়ির ভেতরে ছড়িয়ে পড়লে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়—সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এই বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে উজিরপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দক্ষ টিম, যার নেতৃত্বে ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আঃ রশিদ।
তাদের সহযোগিতায় ছিলেন ফায়ার ফাইটার মোঃ আলামিন, মোঃ কাজী আনিচুর, মোঃ সাব্বির মোল্লাসহ ৮-১০ জনের অভিজ্ঞ কর্মী। শুধু থিওরি নয়, সরাসরি আগুনের উৎস ও প্রতিক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায় দেখিয়ে বাস্তব পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার প্রশিক্ষণ দেন তারা।
এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিশুকিশোরদের শুধু সচেতনই করে না, বরং বিপদের সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দক্ষতাও তৈরি করে।
আয়োজনের নেতৃত্ব ও উপস্থিতি
সিআরএসএস-এর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার এ্যানীমিতা ছিলেন পুরো আয়োজনের পরিকল্পক ও পরিচালক হিসেবে। কর্মশালার সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ইয়ং প্রফেশনাল (স্পন্সরশিপ-ডব্লিউভিবি) প্রজ্ঞা লাবনী মন্ডল।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউশনের একাধিক সহকারী শিক্ষক এবং উজিরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ কাওছার হোসেন, সদস্য নুরুল ইসলাম আসাদ ও মোঃ খলিলুর রহমান।
ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা ও অঙ্গীকার
আয়োজক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এমন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা, আত্মরক্ষা ও দুর্যোগ মোকাবেলার মানসিকতা তৈরি করা যাবে।
এছাড়া স্থানীয় সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে যদি এমন কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করা যায়—তাহলে উজিরপুরকে একটি দুর্যোগ সহনশীল ও শিশুবান্ধব উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।