বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

- প্রকাশের সময়: ০৯:৪০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ ৮৮ জন পড়েছে
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার। শুক্রবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় রাষ্ট্রদূত তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গুলশান-২ এ অবস্থিত বেগম জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান। সাক্ষাৎকালীন সময় তাঁরা প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন।
এসময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন এবং চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার বেগম খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণীও আন্তরিকতা ও কুশল বিনিময়ে অংশ নেন। খালেদা জিয়াও রাষ্ট্রদূত ও তাঁর স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে তাঁর কূটনৈতিক মেয়াদকালীন সময়ের জন্য শুভকামনা জানান।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের এ ধরনের সাক্ষাৎ কূটনৈতিক রীতিনীতি ও শিষ্টাচারের একটি অংশ হলেও, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের সৌজন্য সাক্ষাৎকে অনেকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। বিশেষত এমন এক সময়ে যখন দেশজুড়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করছে এবং তাঁর মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে দেশ-বিদেশে আলোচনা চলছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বা নীতিগত আলোচনা হয়নি, এটি ছিল একান্তই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এই ধরনের উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাৎ রাজনীতির দৃশ্যপটে কিছু না কিছু বার্তা বহন করে।
আখিম ট্রোসটার ২০২১ সালে জার্মান রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও মানবাধিকার ইস্যুতে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। বিশেষ করে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে তাঁর মন্তব্য একাধিকবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল।
জার্মান রাষ্ট্রদূতের এ বিদায়ী সাক্ষাৎ কূটনৈতিক শিষ্টাচারের একটি নিদর্শন হলেও তা বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ শুধুমাত্র কুশল বিনিময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এর পেছনের বার্তা এবং তাৎপর্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানান ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।