ঠাকুরগাঁওয়ে দুলাভাইয়ের হাত ধরে পালালো শ্যালিকা

- প্রকাশের সময়: ০৮:২০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫ ৭৬ জন পড়েছে
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের নেংটিহারা গ্রামে এক মর্মান্তিক ও বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। বিয়ের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই শ্যালিকা তানিয়া আফরিন তার দুলাভাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে শ্বশুড়বাড়ী থেকে দেওয়া তিন ভরি স্বর্ণও নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভও আছে।
তানিয়া আফরিন রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের টাংঙ্গাগজ গ্রামের বাসিন্দা। তার বিয়ে হয় ভানোর ইউনিয়নের নেংটিহারা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে, যিনি ‘রাজু’ নামে পরিচিত। জানা গেছে, ওই গরীব পরিবারের মেয়ে যৌতুক ছাড়াই বিয়ের দিন দেনমোহর পরিশোধ করেন পুরোপুরি। বিয়ের পর শ্যালিকা মাত্র ৭ দিন সংসার করেছেন, যার মধ্যে বাসর পালনসহ শ্বশুড়বাড়ীতেও বেড়িয়েছিলেন।
ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর গত ১৩ জুন শ্যালিকার স্বামী ঢাকায় কাজে যোগ দিতে যান। স্বামীর ঢাকায় চলে যাওয়ার মাত্র সাত ঘণ্টার মধ্যে তানিয়া আফরিন তার দুলাভাইয়ের সঙ্গে ঘর থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনার পর দুই পরিবারে উত্তেজনা ও শোকের ছায়া নেমে আসে।
ঘটনাটি অব্যবস্থাপনা ও প্রতারণার অভিযোগে বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল থানায় পৃথক পৃথক জিডি ও অভিযোগ দায়ের করেছে দুই পরিবার। তারা দাবি করেছেন, শ্যালিকার পলানো ঘটনায় তাদের পরিবারে মানহানি ও নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে। তারা দ্রুত শ্যালিকাকে ফিরে এনে ন্যায়বিচার চায়।
স্থানীয়রা এই ঘটনাকে সমাজের এক উদ্বেগজনক সমস্যা হিসেবে দেখছেন। অনেকেই বলছেন, পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সক্রিয় সমাজকর্মী ও স্থানীয় নেতারা।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি পরিবারগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে সমাজে পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্ব ও নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে সামনে এসেছে। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করবেন এবং এমন ঘটনাগুলো রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।