ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আহলে সুন্নাতের প্রতিবাদ সমাবেশে রইস উদ্দিন হত্যার বিচার ও করিডোর বিরোধিতা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময়: ০৯:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ৮৬ জন পড়েছে

আহলে সুন্নাতের প্রতিবাদ সমাবেশে রইস উদ্দিন হত্যার বিচার ও করিডোর বিরোধিতা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীর মর্মান্তিক হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি চত্বরে আজ (৩ মে ২০২৫, শনিবার) বিকেল ৩টায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের ব্যানারে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আল কাদেরী।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মাষ্টার আবুল হোসাইন ও সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম।

বক্তৃতায় অংশ নেন শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, পীর সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবাইর, অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ, মুফতি কামাল উদ্দিন আজহারী, অধ্যাপক সাইফুদ্দিন খালেদসহ শতাধিক ধর্মীয় নেতা।

আল্লামা আশরাফী বলেন, “গাজীপুরের এক মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অথচ পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি, খুনিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এটি একটি পরিকল্পিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। বিচার না হলে পুলিশ প্রশাসনকেই এর দায় নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ফারুকী হত্যার বিচার আজও হয়নি। আজ আবার রইস উদ্দিনকে হত্যা করা হলো—এটি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতারই প্রতিফলন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার বড় বাধা।”

মুফতি অছিয়র রহমান প্রশ্ন তোলেন, “সুন্নী জনতার প্রতি এমন বৈষম্য কেন? রইস উদ্দিনের মতো নিরীহ আলেমের হত্যার পরও বিচার হচ্ছে না কেন? ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতি যেন আবার তৈরি না হয়, তার আগে রইস হত্যার বিচার দিন।”

বক্তারা সমাবেশে বলেন, সরকার রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোর তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হতে পারে। এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

তাঁরা নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামবিরোধী সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেন এবং আলেম-ওলামা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানান।

৪ মে রবিবার:মার্চ টু গাজীপুর

৫ মে সোমবার: সর্বাত্মক অবরোধ

গ্রেপ্তার না হলে: হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে একটি বিশাল মিছিল লালদীঘি চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আহলে সুন্নাতের প্রতিবাদ সমাবেশে রইস উদ্দিন হত্যার বিচার ও করিডোর বিরোধিতা

প্রকাশের সময়: ০৯:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীর মর্মান্তিক হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি চত্বরে আজ (৩ মে ২০২৫, শনিবার) বিকেল ৩টায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের ব্যানারে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আল কাদেরী।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মাষ্টার আবুল হোসাইন ও সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম।

বক্তৃতায় অংশ নেন শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, পীর সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবাইর, অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ, মুফতি কামাল উদ্দিন আজহারী, অধ্যাপক সাইফুদ্দিন খালেদসহ শতাধিক ধর্মীয় নেতা।

আল্লামা আশরাফী বলেন, “গাজীপুরের এক মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অথচ পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি, খুনিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এটি একটি পরিকল্পিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। বিচার না হলে পুলিশ প্রশাসনকেই এর দায় নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ফারুকী হত্যার বিচার আজও হয়নি। আজ আবার রইস উদ্দিনকে হত্যা করা হলো—এটি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতারই প্রতিফলন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার বড় বাধা।”

মুফতি অছিয়র রহমান প্রশ্ন তোলেন, “সুন্নী জনতার প্রতি এমন বৈষম্য কেন? রইস উদ্দিনের মতো নিরীহ আলেমের হত্যার পরও বিচার হচ্ছে না কেন? ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতি যেন আবার তৈরি না হয়, তার আগে রইস হত্যার বিচার দিন।”

বক্তারা সমাবেশে বলেন, সরকার রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোর তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হতে পারে। এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

তাঁরা নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামবিরোধী সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেন এবং আলেম-ওলামা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানান।

৪ মে রবিবার:মার্চ টু গাজীপুর

৫ মে সোমবার: সর্বাত্মক অবরোধ

গ্রেপ্তার না হলে: হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে একটি বিশাল মিছিল লালদীঘি চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।