ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একজন বইপ্রেমী, সংগ্রামী ও সমাজসেবিকা: রোটারিয়ান, রাবেয়া আক্তার

Editor
  • প্রকাশের সময়: ০২:২৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫ ১৬৩ জন পড়েছে

একজন বইপ্রেমী সংগ্রামী: রোটারিয়ান, রাবেয়া আক্তার

বইয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং জ্ঞানচর্চার প্রতি নিবিড় সখ্যতা গড়ে ওঠা একজন মানুষ রাবেয়া আক্তার। তিনি একাধারে লাইব্রেরিয়ান, সমাজসেবী এবং শিক্ষা অনুরাগী। বর্তমানে তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রধান লাইব্রেরিয়ান ও আর্কাইভ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি গ্লোবাল নলেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত “হোসনে আরা বশির ট্রাস্ট”-এর প্রতিষ্ঠাতা। রোটারি ক্লাব অব ঢাকা স্কলারের সেক্রেটারি। ফেনীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের অফিস সম্পাদক।

পরিবার ও শৈশবের প্রভাবঃ

রোটারিয়ান, রাবেয়া আক্তারের পারিবারিক পটভূমি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তিনি জন্মের পর থেকে রাজধানী ঢাকাতেই বসবাস। তাঁর বাবা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার (GM) এবং মা হোসনে আরা বশির ছিলেন এক বিশিষ্ট সমাজসেবী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এক বোন কর কর্মকর্তা, এক বোন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন এবং সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত, সবচেয়ে বড় বোন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী। তাঁর এক ভাই আমেরিকায় সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত, যার অধীনে বিভিন্ন দেশের ৫০০ জন কর্মরত, আরেক ভাই সমাজসেবা ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

একজন বইপ্রেমী সংগ্রামী: রোটারিয়ান, রাবেয়া আক্তার
একজন বইপ্রেমী সংগ্রামী: রোটারিয়ান, রাবেয়া আক্তার

মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের অবদানঃ

স্বাধীনতা সংগ্রামে রাবেয়া আক্তারের পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাঁদের দাদাবাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। তাঁর দাদা ছিলেন জমিদার এবং নানা খান বাহাদুর হাবিবুর রহমান স্বর্ণপদক (Gold Medal) প্রাপ্ত ছিলেন। বাংলাদেশের একমাত্র মহিলা বুদ্ধিজীবী শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন তাঁর বড় মামি। তাঁর মামার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফেনীতে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান নামার কথা ছিল।

একজন দক্ষ লাইব্রেরিয়ান ও গবেষকঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে তিনি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ম্যানেজমেন্টেও মাস্টার্স করেছেন। তাঁর তিনটি গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গবেষণা উপস্থাপন করেছেন।

শিক্ষা ও সমাজসেবায় অবদানঃ

রাবেয়া আক্তার বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে সমাজে জ্ঞানচর্চার প্রসার ঘটাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে এবং মোবাইল ফোনের আসক্তি কমাতে তিনি বিভিন্ন পাঠচক্র, সাহিত্য আড্ডা ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন। মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই সরবরাহ ও শিক্ষা উপকরণ সহায়তা প্রদান করেন।

লাইব্রেরি উন্নয়নে বিশেষ অবদানঃ

তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর লাইব্রেরিতে ৭০ হাজারেরও বেশি বই, জার্নাল ও অডিও-ভিডিও সংযোজন করেছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি (UGC) থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বেশি বই থাকায়।

২৪-এর যুদ্ধে অংশগ্রহণঃ

তিনি ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নারী নেতৃত্বের অন্যতম ছিলেন। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও গৃহিণীদের নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বিবিসি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তাঁর সাক্ষাৎকার ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সামাজিক সংগঠনে সম্পৃক্ততাঃ

✔ ফেনীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের অফিস সম্পাদক
✔ সোনাগাছি সমিতি, ঢাকার লাইব্রেরি অ্যান্ড রিসার্চ সেক্রেটারি
✔ ফেনী সোসাইটি, উত্তরা-এর নির্বাহী পরিচালক
✔ বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
✔ লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আজীবন সদস্য
✔ গ্লোবাল নলেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
✔ হোসনে আরা বশির ট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা
✔ রোটারি ক্লাব অব ঢাকা স্কলারের সেক্রেটারি
✔ ছয়েশের সাহসিনী আজীবন সদস্য

শিক্ষা সফর ও পরিদর্শনঃ

তিনি দেশ-বিদেশের বহু লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছেন, যার মধ্যে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ও ভারতের বিভিন্ন লাইব্রেরি অন্তর্ভুক্ত।

ব্যক্তিগত জীবন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

রাবেয়া আক্তারের স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও গবেষক। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে— বড় ছেলে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত, ছোট ছেলে ইংলিশ মিডিয়ামের তৃতীয় গ্রেডের শিক্ষার্থী এবং ২৩ পারা হাফেজ, একমাত্র মেয়ে সমাজসেবী ও গবেষক।

রাবেয়া আক্তার শুধুমাত্র একজন লাইব্রেরিয়ান নন; তিনি সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম আগামী প্রজন্মকে বই ও শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। শুভকামনা তাঁর জন্য।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

একজন বইপ্রেমী, সংগ্রামী ও সমাজসেবিকা: রোটারিয়ান, রাবেয়া আক্তার

প্রকাশের সময়: ০২:২৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

বইয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং জ্ঞানচর্চার প্রতি নিবিড় সখ্যতা গড়ে ওঠা একজন মানুষ রাবেয়া আক্তার। তিনি একাধারে লাইব্রেরিয়ান, সমাজসেবী এবং শিক্ষা অনুরাগী। বর্তমানে তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রধান লাইব্রেরিয়ান ও আর্কাইভ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি গ্লোবাল নলেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত “হোসনে আরা বশির ট্রাস্ট”-এর প্রতিষ্ঠাতা। রোটারি ক্লাব অব ঢাকা স্কলারের সেক্রেটারি। ফেনীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের অফিস সম্পাদক।

পরিবার ও শৈশবের প্রভাবঃ

রোটারিয়ান, রাবেয়া আক্তারের পারিবারিক পটভূমি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তিনি জন্মের পর থেকে রাজধানী ঢাকাতেই বসবাস। তাঁর বাবা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার (GM) এবং মা হোসনে আরা বশির ছিলেন এক বিশিষ্ট সমাজসেবী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এক বোন কর কর্মকর্তা, এক বোন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন এবং সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত, সবচেয়ে বড় বোন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী। তাঁর এক ভাই আমেরিকায় সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত, যার অধীনে বিভিন্ন দেশের ৫০০ জন কর্মরত, আরেক ভাই সমাজসেবা ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

একজন বইপ্রেমী সংগ্রামী: রোটারিয়ান, রাবেয়া আক্তার
একজন বইপ্রেমী সংগ্রামী: রোটারিয়ান, রাবেয়া আক্তার

মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের অবদানঃ

স্বাধীনতা সংগ্রামে রাবেয়া আক্তারের পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাঁদের দাদাবাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। তাঁর দাদা ছিলেন জমিদার এবং নানা খান বাহাদুর হাবিবুর রহমান স্বর্ণপদক (Gold Medal) প্রাপ্ত ছিলেন। বাংলাদেশের একমাত্র মহিলা বুদ্ধিজীবী শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন তাঁর বড় মামি। তাঁর মামার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফেনীতে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান নামার কথা ছিল।

একজন দক্ষ লাইব্রেরিয়ান ও গবেষকঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে তিনি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ম্যানেজমেন্টেও মাস্টার্স করেছেন। তাঁর তিনটি গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গবেষণা উপস্থাপন করেছেন।

শিক্ষা ও সমাজসেবায় অবদানঃ

রাবেয়া আক্তার বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে সমাজে জ্ঞানচর্চার প্রসার ঘটাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে এবং মোবাইল ফোনের আসক্তি কমাতে তিনি বিভিন্ন পাঠচক্র, সাহিত্য আড্ডা ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন। মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই সরবরাহ ও শিক্ষা উপকরণ সহায়তা প্রদান করেন।

লাইব্রেরি উন্নয়নে বিশেষ অবদানঃ

তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর লাইব্রেরিতে ৭০ হাজারেরও বেশি বই, জার্নাল ও অডিও-ভিডিও সংযোজন করেছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি (UGC) থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বেশি বই থাকায়।

২৪-এর যুদ্ধে অংশগ্রহণঃ

তিনি ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নারী নেতৃত্বের অন্যতম ছিলেন। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও গৃহিণীদের নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বিবিসি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তাঁর সাক্ষাৎকার ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সামাজিক সংগঠনে সম্পৃক্ততাঃ

✔ ফেনীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের অফিস সম্পাদক
✔ সোনাগাছি সমিতি, ঢাকার লাইব্রেরি অ্যান্ড রিসার্চ সেক্রেটারি
✔ ফেনী সোসাইটি, উত্তরা-এর নির্বাহী পরিচালক
✔ বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
✔ লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আজীবন সদস্য
✔ গ্লোবাল নলেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
✔ হোসনে আরা বশির ট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা
✔ রোটারি ক্লাব অব ঢাকা স্কলারের সেক্রেটারি
✔ ছয়েশের সাহসিনী আজীবন সদস্য

শিক্ষা সফর ও পরিদর্শনঃ

তিনি দেশ-বিদেশের বহু লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছেন, যার মধ্যে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ও ভারতের বিভিন্ন লাইব্রেরি অন্তর্ভুক্ত।

ব্যক্তিগত জীবন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

রাবেয়া আক্তারের স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও গবেষক। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে— বড় ছেলে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত, ছোট ছেলে ইংলিশ মিডিয়ামের তৃতীয় গ্রেডের শিক্ষার্থী এবং ২৩ পারা হাফেজ, একমাত্র মেয়ে সমাজসেবী ও গবেষক।

রাবেয়া আক্তার শুধুমাত্র একজন লাইব্রেরিয়ান নন; তিনি সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম আগামী প্রজন্মকে বই ও শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। শুভকামনা তাঁর জন্য।