গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

- প্রকাশের সময়: ০৯:৪০:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫ ১৭২ জন পড়েছে
গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার ইসরায়েল ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অন্তত ৭১ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। গাজার মিডিয়া অফিস এই হামলাগুলোকে ‘ভয়াবহ অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর আল-দিরাউই, যিনি মধ্য গাজার আজ-জাওয়াইদা এলাকায় নিজ বাড়িতে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে প্রাণ হারান। তিনি গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হিসেবে নিহত হন। এছাড়া, মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং এই হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
গাজার খান ইউনুসের কাছে আল-মাওয়াসি নামক একটি তথাকথিত ‘মানবিক অঞ্চল’-এ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পাঁচ শিশু নিহত হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন ছেলে এবং দুইজন মেয়ে ছিল, বয়স ৭ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। এই ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “শিশুদের জন্য এখন কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়—না বোমা থেকে, না ঠান্ডা, রোগ বা ক্ষুধা থেকে। এই ধ্বংসযজ্ঞ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।”
জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি মানবিক দল উত্তর গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে এবং সেখানে বিধ্বস্ত হাসপাতাল ও হাজারও মানুষের দুর্দশা দেখেছে। তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি ঘটছে এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ৪৫,৫৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এক লাখেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন এবং সিংহভাগ গৃহবাড়ি, হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে। তীব্র শীতে গাজার লাখ লাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
গাজায় সংঘটিত এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিবাদ এবং দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
___ আল-জাজিরা