ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

DSB ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়: ০১:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১৬ জন পড়েছে

থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আক্তার হোসেন।

ডিজি সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুর রহমানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকল্প থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পে স্থানীয় সরঞ্জামাদি ব্যবহার করেও বিদেশ থেকে আমদানি দেখানো হয়েছে। সয়েল টেস্টে অনিয়ম এবং নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রকল্পের তিনটি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে।

ডিজি আরও জানান, প্রকল্পের দরপত্রে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশের উল্লেখ থাকলেও নিম্নমানের চীন ও কোরিয়া থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে। সিলিংয়ের কাজে অনিয়মসহ অযৌক্তিক ব্যয় করে ১২ কোটি টাকা অপচয়েরও অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। ওই সময় প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মোট ব্যয় হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ৫ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ জোগান দিয়েছে জাপানের জাইকা।

দুদকের অনুসন্ধানে প্রকল্পে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের তথ্য উঠে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশের সময়: ০১:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আক্তার হোসেন।

ডিজি সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুর রহমানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকল্প থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পে স্থানীয় সরঞ্জামাদি ব্যবহার করেও বিদেশ থেকে আমদানি দেখানো হয়েছে। সয়েল টেস্টে অনিয়ম এবং নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রকল্পের তিনটি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে।

ডিজি আরও জানান, প্রকল্পের দরপত্রে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশের উল্লেখ থাকলেও নিম্নমানের চীন ও কোরিয়া থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে। সিলিংয়ের কাজে অনিয়মসহ অযৌক্তিক ব্যয় করে ১২ কোটি টাকা অপচয়েরও অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। ওই সময় প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মোট ব্যয় হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ৫ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ জোগান দিয়েছে জাপানের জাইকা।

দুদকের অনুসন্ধানে প্রকল্পে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের তথ্য উঠে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।