এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, ভারত শেখ হাসিনাকে বিসর্জন দেবে না

- প্রকাশের সময়: ০৪:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২২ জন পড়েছে
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকার শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে চিঠি পাঠায়, তবে ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারত এর আগে মিত্র রাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতাদের একে অপরকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক ছিল এবং বর্তমানে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়টি নিয়ে কোনো ত্বরিত সিদ্ধান্ত নেয়নি। ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের চাপ সত্ত্বেও ভারত বিষয়টি নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা করবে, এবং এতে কয়েক মাস সময়ও লাগতে পারে।
ভারত মনে করে, শেখ হাসিনার শাসন ভারতের স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হয়েছে, বিশেষ করে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে এবং ভারত-বাংলাদেশ উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রসারে। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় রাজনৈতিক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রত্যর্পণ সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে, যার কারণে বিষয়টি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে। ভারত আরও দাবি করে, তাদের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যেখানে দেশটি দালাই লামাসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা ও ব্যক্তিত্বকে আশ্রয় দিয়েছে, এবং শেখ হাসিনার ভারতে নির্বাসনও নতুন ঘটনা নয়, কারণ ১৯৭৫ সালে তার পিতার হত্যার পরও তিনি ভারতে নির্বাসিত ছিলেন।