প্রকাশ্যে নৃশংস হত্যার দায়ে দুই যুবদল নেতাকে আজীবন বহিষ্কার

- প্রকাশের সময়: ০১:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ৩১ জন পড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যুবদলের দুই শীর্ষ নেতাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল) এর মূল ফটকে প্রকাশ্য দিবালোকে মোহাম্মদ সোহাগ নামের এক যুবক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকির নাম উঠে আসে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন দলীয় গঠনতন্ত্রের আলোকে তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে দলটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত এই দুই নেতার কোনো অপরাধ বা অপকর্মের দায়-দায়িত্ব জাতীয়তাবাদী যুবদল নেবে না। এছাড়া সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখেন।
যুবদল আরও বলেছে, তারা আইনের শাসনে এবং ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে— তারা যেন এই ঘটনায় কোনো শৈথিল্য না দেখিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেন এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করেন।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, জাতীয়তাবাদী যুবদল কখনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বা খুনের রাজনীতি সমর্থন করে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী এই সংগঠন সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে।
প্রকাশ্য দিবালোকে এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। নিহত সোহাগের পরিবার এরই মধ্যে পুরান ঢাকার কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।