ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তরুণ-যুব সমাজে মাদকের ভয়াল ছোবল: বাংলাদেশকে ‘ভিআইপি রুট’ হিসেবে ব্যবহার

আওরঙ্গজেব কামাল, বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময়: ১১:০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ১৫ জন পড়েছে

তরুণ-যুব সমাজে মাদকের ভয়াল ছোবল: বাংলাদেশকে ‘ভিআইপি রুট’ হিসেবে ব্যবহার

সর্বনাশা মাদকের মরণ ছোবলে আক্রান্ত তরুণ ও যুব সমাজ আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সারা দেশে মাদক জন্ম দিচ্ছে একের পর এক ভয়াবহ অপরাধ। মাদকদ্রব্য গ্রহণ করলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে এবং দ্রব্যের ওপর নির্ভরশীলতা সৃষ্টির পাশাপাশি দ্রব্য গ্রহণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকে। মাদক একটি সর্বনাশা নেশা, যা শুধুমাত্র তাদেরই অনুধাবন করা সম্ভব, যাদের পরিবারের কোনো সদস্য মাদকাসক্ত। মাদকে আসক্ত সদস্য নিয়ে শুধু পরিবারের মধ্যেই নয়, আত্মীয়স্বজনও নানা কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। বর্তমানে মাদকের কারণে যুব সমাজ অসংখ্য সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত।

দেশের প্রেক্ষাপটে মাদক একটি ভয়াল সমস্যা। দিন দিন মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। দেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাদকের কেনাবেচা হয় না। শহর থেকে শুরু করে গ্রামেও মাদক সহজলভ্য। মাদক আমাদের জন্য হুমকি, যা কারো একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং মাদক সেবন ও বিক্রি যারা করবে, তাদের ধরিয়ে দিতে সর্বস্তরের মানুষের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তরুণ সমাজ ও দেশকে রক্ষা করতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, এ বিকল্প নেই।

মাদক আসক্ত করতে তরুণদের টার্গেট করা হয়। প্রথমে ছলেবলে, আলাপের ছলে বিনামূল্যে মাদক দেওয়া হয়। পরে তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। স্থায়ীভাবে যৌন ক্ষমতা হারায়। মাদকের কারণে মানবিক বিপর্যয় ঘটে। দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অনেক পরিবার মাদকাসক্তদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বান্ত হয়েছে। মাদক নির্মূলে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া এটি সম্ভব নয়।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নেশাজাত দ্রব্যের ব্যাপারে চিকিৎসকরা অভিমত দিয়েছেন, যে নাম যা-ই হোক না কেন, নেশা ব্যবহারে মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃত হয় এবং কঠিন রোগে একসময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে। ফলে মাদক সমাজ, জাতি ও পরিবারের জন্য অভিশাপ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে তরল মাদকদ্রব্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় নামে বিক্রি হচ্ছে। ট্যাবলেট আকারের মাদকও সহজে পাওয়া যায়। ফলে মাদকসেবীরা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও আত্মঘাতী কাজে লিপ্ত হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা মাদকসেবী হয়ে পড়ছে। মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা মাদক সেবন করছে। মাদকদ্রব্য স্মৃতিশক্তি বিনষ্ট করে, মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটায়, আর এটি সেবন করে একজন মানুষ যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে পারে।

কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক সংক্রান্ত বিরোধে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এমন অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। দেশে ফেনসিডিল, হিরোইন, কোকেন, ক্রিস্টাল মেথ-আইস, সিডাকসিন, ইনোকট্রিন, মরফিন, টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল, মেথাডন, বিয়ার, কেনা বিসরেসিন, অ্যাবসলিউট অ্যালকোহল, ভেষজ কেনাবিস, গাঁজা, দেশি-বিদেশি মদ প্রভৃতি নেশাজাত দ্রব্য মানুষের শরীরের অস্থিমজ্জা কুরে খাচ্ছে। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীদের অন্যতম রুট ও বাজারে পরিণত হয়েছে। আফ্রিকা, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, ভারত, মিয়ানমার, মালাবি থেকে শুরু করে ইউরোপ ও আমেরিকার মাদক ব্যবসায়ীদের নজর বাংলাদেশের দিকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশকে হেরোইন ও কোকেনের ‘ভিআইপি রুট’ হিসেবে ব্যবহার করছে আন্তর্জাতিক চক্র। যদিও দেশে মাদক চাহিদা তুলনামূলক কম, তবে আন্তর্জাতিক পাচারের জন্য এটি নিরাপদ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ফলে তরুণ ও যুবসমাজ অজান্তেই বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে নেশার জগতে প্রবেশ করছে। এ ছাড়া বাজারে এনার্জি ড্রিংকস নামে চালু হয়েছে এক ধরনের মাদকদ্রব্য। এসব পানিতে আফিম ও এলকোহলসহ নানা ধরনের নেশাজাত উপাদান মিশিয়ে তরুণ সমাজ ক্রমেই মাদকের কবলে পড়ছে।

মাদকের ব্যাপারে অনেক অভিভাবক, বিশেষ করে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতি বছর ২৫ হাজার কোটি টাকার মাদক বেচাকেনা হয়। ঢাকা শহরে দৈনিক ইয়াবা ব্যবসায় ৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। মাদকাসক্তের সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও সরকার বলছে ৫০ লাখ, বেসরকারি হিসেবে ৭০ লাখেরও বেশি। এদের অধিকাংশ ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ-যুবক-যুবতী।

বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাবে। মাদক সিন্ডিকেটকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। না হলে সমাজে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে কেউই নিরাপদ নয়। অতএব দেশের ভবিষ্যত তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে নেশাজাত দ্রব্য নির্মূলে দৃঢ় পদক্ষেপ ও দায়সারা ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

তরুণ-যুব সমাজে মাদকের ভয়াল ছোবল: বাংলাদেশকে ‘ভিআইপি রুট’ হিসেবে ব্যবহার

প্রকাশের সময়: ১১:০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

সর্বনাশা মাদকের মরণ ছোবলে আক্রান্ত তরুণ ও যুব সমাজ আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সারা দেশে মাদক জন্ম দিচ্ছে একের পর এক ভয়াবহ অপরাধ। মাদকদ্রব্য গ্রহণ করলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে এবং দ্রব্যের ওপর নির্ভরশীলতা সৃষ্টির পাশাপাশি দ্রব্য গ্রহণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকে। মাদক একটি সর্বনাশা নেশা, যা শুধুমাত্র তাদেরই অনুধাবন করা সম্ভব, যাদের পরিবারের কোনো সদস্য মাদকাসক্ত। মাদকে আসক্ত সদস্য নিয়ে শুধু পরিবারের মধ্যেই নয়, আত্মীয়স্বজনও নানা কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। বর্তমানে মাদকের কারণে যুব সমাজ অসংখ্য সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত।

দেশের প্রেক্ষাপটে মাদক একটি ভয়াল সমস্যা। দিন দিন মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। দেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাদকের কেনাবেচা হয় না। শহর থেকে শুরু করে গ্রামেও মাদক সহজলভ্য। মাদক আমাদের জন্য হুমকি, যা কারো একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং মাদক সেবন ও বিক্রি যারা করবে, তাদের ধরিয়ে দিতে সর্বস্তরের মানুষের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তরুণ সমাজ ও দেশকে রক্ষা করতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, এ বিকল্প নেই।

মাদক আসক্ত করতে তরুণদের টার্গেট করা হয়। প্রথমে ছলেবলে, আলাপের ছলে বিনামূল্যে মাদক দেওয়া হয়। পরে তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। স্থায়ীভাবে যৌন ক্ষমতা হারায়। মাদকের কারণে মানবিক বিপর্যয় ঘটে। দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অনেক পরিবার মাদকাসক্তদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বান্ত হয়েছে। মাদক নির্মূলে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া এটি সম্ভব নয়।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নেশাজাত দ্রব্যের ব্যাপারে চিকিৎসকরা অভিমত দিয়েছেন, যে নাম যা-ই হোক না কেন, নেশা ব্যবহারে মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃত হয় এবং কঠিন রোগে একসময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে। ফলে মাদক সমাজ, জাতি ও পরিবারের জন্য অভিশাপ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে তরল মাদকদ্রব্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় নামে বিক্রি হচ্ছে। ট্যাবলেট আকারের মাদকও সহজে পাওয়া যায়। ফলে মাদকসেবীরা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও আত্মঘাতী কাজে লিপ্ত হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা মাদকসেবী হয়ে পড়ছে। মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা মাদক সেবন করছে। মাদকদ্রব্য স্মৃতিশক্তি বিনষ্ট করে, মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটায়, আর এটি সেবন করে একজন মানুষ যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে পারে।

কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক সংক্রান্ত বিরোধে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এমন অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। দেশে ফেনসিডিল, হিরোইন, কোকেন, ক্রিস্টাল মেথ-আইস, সিডাকসিন, ইনোকট্রিন, মরফিন, টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল, মেথাডন, বিয়ার, কেনা বিসরেসিন, অ্যাবসলিউট অ্যালকোহল, ভেষজ কেনাবিস, গাঁজা, দেশি-বিদেশি মদ প্রভৃতি নেশাজাত দ্রব্য মানুষের শরীরের অস্থিমজ্জা কুরে খাচ্ছে। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীদের অন্যতম রুট ও বাজারে পরিণত হয়েছে। আফ্রিকা, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, ভারত, মিয়ানমার, মালাবি থেকে শুরু করে ইউরোপ ও আমেরিকার মাদক ব্যবসায়ীদের নজর বাংলাদেশের দিকে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশকে হেরোইন ও কোকেনের ‘ভিআইপি রুট’ হিসেবে ব্যবহার করছে আন্তর্জাতিক চক্র। যদিও দেশে মাদক চাহিদা তুলনামূলক কম, তবে আন্তর্জাতিক পাচারের জন্য এটি নিরাপদ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ফলে তরুণ ও যুবসমাজ অজান্তেই বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে নেশার জগতে প্রবেশ করছে। এ ছাড়া বাজারে এনার্জি ড্রিংকস নামে চালু হয়েছে এক ধরনের মাদকদ্রব্য। এসব পানিতে আফিম ও এলকোহলসহ নানা ধরনের নেশাজাত উপাদান মিশিয়ে তরুণ সমাজ ক্রমেই মাদকের কবলে পড়ছে।

মাদকের ব্যাপারে অনেক অভিভাবক, বিশেষ করে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতি বছর ২৫ হাজার কোটি টাকার মাদক বেচাকেনা হয়। ঢাকা শহরে দৈনিক ইয়াবা ব্যবসায় ৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। মাদকাসক্তের সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও সরকার বলছে ৫০ লাখ, বেসরকারি হিসেবে ৭০ লাখেরও বেশি। এদের অধিকাংশ ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ-যুবক-যুবতী।

বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাবে। মাদক সিন্ডিকেটকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। না হলে সমাজে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে কেউই নিরাপদ নয়। অতএব দেশের ভবিষ্যত তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে নেশাজাত দ্রব্য নির্মূলে দৃঢ় পদক্ষেপ ও দায়সারা ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।