ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পার্বত্য জেলাগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ঢল

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময়: ১০:২০:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০১ জন পড়েছে

সরকারি অথবা বেসরকারী ছুটিতে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পর্যটকদের ভিড়ের কারণে এসব এলাকার অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে আর কোনো কক্ষ খালি নেই।

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, বার্গী লেক ভ্যালি, এবং পুলিশের পলওয়েলসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপস্থিতে স্পন্দন ফিরে এসেছে। বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমণের পাশাপাশি অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে সময় কাটিয়েছেন। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম ছিল।

শীত মৌসুম হওয়ায় রাঙামাটির ছাদ নামে পরিচিত সাজেক ভ্যালিতেও পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে। ভ্রমণপ্রেমীদের পদচারণায় সাজেক ভ্যালি হয়ে উঠেছে আরও আকর্ষণীয়।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্র চাকমা জানান, শীত মৌসুম এবং বিজয় দিবসের সরকারি ছুটির কারণে সোমবার সাজেকে দুই হাজারের বেশি পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন। সাজেকের ১১২টি রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ রুম ইতোমধ্যে বুকড হয়ে গেছে।

রাঙামাটি হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে প্রায় ছয় হাজার দর্শনার্থী এসেছেন।

খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলোতেও বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। জেলা পরিষদ পার্ক, রিছাং ঝরনা এবং আলুটিলাসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র এবং রিছাং ঝরনায় শিক্ষার্থীসহ সবার জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদের হর্টিকালচার পার্কও শিশুদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।

এ বছর পর্যটকরা সরাসরি দীঘিনালা যাওয়ার সুবিধা পেয়ে খাগড়াছড়ি সদরে তাদের রাত্রিযাপন কমিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে খাগড়াছড়ি সদরের হোটেল-মোটেল ব্যবসায় কিছুটা মন্দা সৃষ্টি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পার্বত্য জেলাগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ঢল

প্রকাশের সময়: ১০:২০:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারি অথবা বেসরকারী ছুটিতে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পর্যটকদের ভিড়ের কারণে এসব এলাকার অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে আর কোনো কক্ষ খালি নেই।

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, বার্গী লেক ভ্যালি, এবং পুলিশের পলওয়েলসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপস্থিতে স্পন্দন ফিরে এসেছে। বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমণের পাশাপাশি অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে সময় কাটিয়েছেন। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম ছিল।

শীত মৌসুম হওয়ায় রাঙামাটির ছাদ নামে পরিচিত সাজেক ভ্যালিতেও পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে। ভ্রমণপ্রেমীদের পদচারণায় সাজেক ভ্যালি হয়ে উঠেছে আরও আকর্ষণীয়।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্র চাকমা জানান, শীত মৌসুম এবং বিজয় দিবসের সরকারি ছুটির কারণে সোমবার সাজেকে দুই হাজারের বেশি পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন। সাজেকের ১১২টি রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ রুম ইতোমধ্যে বুকড হয়ে গেছে।

রাঙামাটি হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে প্রায় ছয় হাজার দর্শনার্থী এসেছেন।

খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলোতেও বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। জেলা পরিষদ পার্ক, রিছাং ঝরনা এবং আলুটিলাসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র এবং রিছাং ঝরনায় শিক্ষার্থীসহ সবার জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদের হর্টিকালচার পার্কও শিশুদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।

এ বছর পর্যটকরা সরাসরি দীঘিনালা যাওয়ার সুবিধা পেয়ে খাগড়াছড়ি সদরে তাদের রাত্রিযাপন কমিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে খাগড়াছড়ি সদরের হোটেল-মোটেল ব্যবসায় কিছুটা মন্দা সৃষ্টি হয়েছে।