ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর ইস্যু; বরিশালে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ ধর্মঘট

বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময়: ০৩:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২৩ জন পড়েছে

বরিশাল নৌ বন্দর

চাঁদপুরে জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে বরিশালে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে এই ধর্মঘট শুরু হয়।

ফেডারেশনের বরিশাল অঞ্চলের নেতা একিন আলী মাস্টার জানান, চাঁদপুরের মেঘনা নদীর হরিনা ঘাট সংলগ্ন মাঝেরচর এলাকায় এম. ভি. আল-বাখেরা জাহাজে সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে সাত শ্রমিককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার, নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা এবং নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এসব দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মালবাহী, তেল-গ্যাসবাহী এবং বালুবাহীসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন থেকে জানানো হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়া হবে। দেশের সব বেসিক ইউনিয়ন ও শাখাগুলোর নেতাদের মাধ্যমে শ্রমিকদের ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে আপাতত যাত্রীবাহী নৌযানগুলোকে ধর্মঘটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে বলে জানান একিন আলী মাস্টার।

নিউজটি শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চাঁদপুর ইস্যু; বরিশালে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ ধর্মঘট

প্রকাশের সময়: ০৩:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরে জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে বরিশালে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে এই ধর্মঘট শুরু হয়।

ফেডারেশনের বরিশাল অঞ্চলের নেতা একিন আলী মাস্টার জানান, চাঁদপুরের মেঘনা নদীর হরিনা ঘাট সংলগ্ন মাঝেরচর এলাকায় এম. ভি. আল-বাখেরা জাহাজে সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে সাত শ্রমিককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার, নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা এবং নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এসব দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মালবাহী, তেল-গ্যাসবাহী এবং বালুবাহীসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন থেকে জানানো হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়া হবে। দেশের সব বেসিক ইউনিয়ন ও শাখাগুলোর নেতাদের মাধ্যমে শ্রমিকদের ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে আপাতত যাত্রীবাহী নৌযানগুলোকে ধর্মঘটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে বলে জানান একিন আলী মাস্টার।